১) আমরা জেনেছি যে, ইসলাম অর্থ আত্মসমর্পণ।
২) আল্লাহ তায়ালা বলেন;
يا أيها الذين آمنوا ادخلوا في السلم كافة
৩) দুনিয়াতে মানুষ কোনো না কোনো কিছুতে আটকে আছে। কেউ ব্যবসা, কেউ চাকরী, কেউ খেলাধুলা, কেউ সোশ্যাল মিডিয়ার সস্তা জনপ্রিয়তায়…
৪) কিন্তু আমরা মুসলমানরা প্রকৃত অর্থে আটকে থাকবো আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের হুকুমের সাথে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের মুসলমান নাম রেখেছেন।
৫) ইসলামের অর্থ হচ্ছে আত্মসমর্পণ। বুঝে আসে না, আমরা কেন ইসলামের বিধান ছেড়ে ভিন্ন পথে গিয়ে শান্তি খুজি!
৭) অনেকের অবস্থা দেখে মনে হয়, নিজের মুসলিম পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করেন। কেউ হিজাব পরতে, কেউ দাড়ি রাখতে, কেউ বন্ধুবান্ধবের কাছে এটা বলতে লজ্জা পান যে, আমি হারাম খাবার খাই না।
নামাজ সর্বাবস্থায় ফরজ। কিন্তু অনেক সময় পাবলিক প্লেসে লজ্জা লাগে কিনা? এসব মূলত দুর্বল ঈমানের আলামত।
৮) আল্লাহ তায়ালা আমাদের প্রকৃত মুসলমান হওয়ার তাওফিক দান করুন।
—————————————-
১) হযরত জিবরীল আ. পরবর্তী প্রশ্ন করেছেন ঈমান সম্পর্কে।
قالَ: فأخْبِرْنِي عَنِ الإيمانِ، قالَ: أنْ تُؤْمِنَ باللَّهِ، ومَلائِكَتِهِ، وكُتُبِهِ، ورُسُلِهِ، والْيَومِ الآخِرِ، وتُؤْمِنَ بالقَدَرِ خَيْرِهِ وشَرِّهِ،
قالَ: صَدَقْتَ،
২) একজন মুসলমানের জন্য সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হল ঈমান। ঈমানের বিপরীত কুফর।
যদি ঈমান থাকে আর দুনিয়ার কোনো কিছু না থাকে, তবুও মানুষ সফল। আর দুনিয়ার সবকিছুর মালিক হয়ে গেলেও ঈমান ছাড়া সেই জীবন মূল্যহীন।
৩) শান্তি আর স্বস্তি যদি দুনিয়ার সম্পদের মাধ্যমে পাওয়া যেতো, তবে ইউরোপ আমেরিকায় কোনো অসুখী মানুষ পাওয়া যেতো না। কিন্তু সবচেয়ে বেশি ডিপ্রেশনে আক্রান্ত মানুষ এসব দেশে পাওয়া যায়।
৪) ঈমানের গুরুত্ব বুঝার জন্য এটুকু যথেষ্ট যে, কিয়ামতের ভয়াবহ দিনে যার মাঝে সামান্য পরিমাণ ঈমান থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে ইনশাআল্লাহ।
—————————————-
★ঈমানের উদাহরণ★
৫) ঈমান জীবন, কুফর মৃত্যু। ঈমান পূর্ণ কল্যাণ আর কুফর পূর্ণ অকল্যাণ। ঈমান সরল পথ, আর কুফর ভ্রষ্টতার রাস্তা।
৬) ঈমান মুসলমানের কাছে প্রাণের চেয়েও প্রিয়। ঈমানদার সকল কষ্ট সহ্য করতে পারে, মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে পারে, কিন্তু ঈমান ছাড়তে পারে না। ঈমানই তার কাছে সবকিছু থেকে বড়।
৭) আমাদের বুঝা দরকার যে, ঈমান শুধু মুখে কালেমা পড়ার নাম নয়, ইসলামকে তার সকল বিধিবিধানসহ মনেপ্রাণে কবুল করার নাম।
—————————————-
★ঈমান কাকে বলে?★
১) ঈমানের সংজ্ঞা : শাব্দিক অর্থ হচ্ছে “তাসদীক্ব” বা সত্যায়ন (অর্থাৎ কোনো কিছুকে সত্য মনে করে বিশ্বাস করা)
২) শরীয়তের পরিভাষায়, তাসদীক্ব বিল জিনান বা অন্তরের দ্বারা বিশ্বাস, ইক্বরার বিল লিসান বা মুখের দ্বারা স্বীকার এবং আমল বিল আরকান বা বাহ্যিক আমলের নাম হচ্ছে ঈমান৷
৩) তবে উলামায়ে কেরাম লিখেন; আমল হচ্ছে ঈমানের ফলাফল। আমল হচ্ছে ওই আলামত, যার দ্বারা মানুষের ঈমানদার হওয়া সম্পর্কে জানা যায়।
—————————————-
★ঈমান কাকে বলে?★
1. ঈমান ওহীর মাধ্যমে জানা সকল সত্যকে সত্য বলে বিশ্বাস করার নাম।
১) যে ওহী ‘আল কুরআনুল কারীম’ এবং ‘আসসুন্নাতুন নাবাবিয়্যাহ’ রূপে এখনো সংরক্ষিত আছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
2. ঈমান অবিচল আস্থা ও বিশ্বাসের নাম।
২) ঈমান তো অটল ও দৃঢ় বিশ্বাসের নাম। সংশয় ও সন্দেহের মিশ্রণও এখানে হতে পারে না।
৩) কুরআন মজীদের ইরশাদ-
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ آَمَنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ ثُمَّ لَمْ يَرْتَابُوا وَجَاهَدُوا بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أُولَئِكَ هُمُ الصَّادِقُونَ
তারাই মুমিন যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনে, পরে সন্দেহ পোষণ করে না এবং জীবন ও সম্পদ দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করে তারাই সত্যনিষ্ঠ।-আলহুজুরাত ৪৯ : ১৫
৪) সংশয় ও দোদুল্যমানতা কাফির ও মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য, মুমিনের নয়।
৩. কোনো বিষয়কে শুধু আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রতি আস্থার ভিত্তিতে মেনে নেয়ার নাম ঈমান
৫) ঈমানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রোকন হল, কোন বিষয়কে শুধু আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি আস্থার ভিত্তিতে সন্দেহাতীতভাবে মেনে নেয়া ও বিশ্বাস করা।
★গুরুত্বপূর্ণ★
৬) সচক্ষে দেখার পর ঈমান আনার আর কী বাকি থাকে? চোখে দেখা বিষয়কে কে অস্বীকার করে?
৭) ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য ও দৃশ্যমান বস্তুসমূহ বা সাধারণ বিবেক বুদ্ধি দ্বারা বোঝা যায় এমন বিষয়সমূহ ঈমানের বিষয়বস্তু হতে পারে না। এসব তো মানুষ এমনিতেই মেনে নেয়। এতে ঈমান আনা না আনার প্রশ্নই অবান্তর।
৮) দেখা বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপনের নাম ঈমান নয়। মুমিনকে তো এজন্য মুমিন বলা হয় যে, সে না দেখা বিষয় শুধু আল্লাহ বা তাঁর রসূলের সংবাদের উপর ভিত্তি করে মেনে নিয়েছে ও বিশ্বাস করেছে।
★গুরুত্বপূর্ণ★
৯) অতএব যে ব্যক্তি মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও কুরআন-সুন্নাহয় বর্ণিত অদৃশ্যের বিষয় মেনে নিতে এ জন্য সন্দিহান থাকে যে, সে সকল বিষয়ের ধরণ ও বিস্তারিত বিবরণ তার বুঝে আসছে না।
১০) অথবা শরীয়তের কোন হুকুম কবুল করতে এজন্য দ্বিধাগ্রস্ত যে তার এই হুকুমের হেকমত বুঝে আসছে না।
১১) অথবা কুরআন-হাদীসে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত কোন বিষয়ে সে এজন্য সন্দেহ পোষণ করে যে, সে বিষয়ে কোনো বিজ্ঞানীর সাক্ষ্য নেই। এ সকল লোক আসলে ঈমানের হাকীকতই বোঝে না।
১২) তাদেরকে কে বোঝাবে যে, যে বিষয়টি আপনি স্বচক্ষে দেখেছেন অথবা আকলের মাধ্যমে অনুধাবন করেছেন অথবা আপনার কোন বিশ্বস্ত ব্যক্তি আপনাকে খবর দিয়েছে ফলে আপনি তা বিশ্বাস করেছেন; এটা ‘ঈমান’ কীভাবে হয়?!
১৩) আপনার এ মেনে নেয়া তো আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের কথার উপর নির্ভর করে হয়নি। (দেখা, বোঝা বা অন্য কারো উপর নির্ভর করে হয়েছে।)
১৪) ঈমান তো তখন ঈমান বলে গণ্য হবে যখন আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি আপনার আস্থা ও নির্ভরতা থাকবে। যার প্রতি আস্থা ও নির্ভরতাই নেই তার উপর ঈমানের দাবি কীভাবে হয়?
৪. ঈমান সত্যের সাক্ষ্যদান এবং আরকানে ইসলাম পালনের নাম
১৬) অন্তরের বিশ্বাসের সাথে মুখেও সত্যের সাক্ষ্য দেওয়া ঈমানের অন্যতম রোকন।
হাদীস শরীফে আছে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রবীআ গোত্রের প্রতিনিধিদলকে এক আল্লাহর উপর ঈমান আনার আদেশ করে জিজ্ঞাসা করেছিলেন-
أتدرون ما الإيمان بالله وحده؟ قالوا : الله ورسوله أعلم، قال : شهادة أن لا إله إلا الله، وأن محمدا رسول الله، وإقام الصلاة وإيتاء الزكاة وصيام رمضان، وأن تعطوا من المغنم الخمس.
তোমরা কি জান ‘এক আল্লাহর উপর ঈমান’ কাকে বলে? তারা বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (এক আল্লাহর উপর ঈমান আনার অর্থ) এই সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য মাবুদ নেই। মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল। আর সালাত কায়েম করা, যাকাত আদায় করা, রমযানের রোযা রাখা ও গণীমতের এক পঞ্চমাংশ প্রেরণ করা। (সহীহ বুখারী, হাদীস : ৫৩, কিতাবুল ঈমান, আদাউল খুমুসি মিনাল ঈমান)
—————————————-
ঈমানের সর্বপ্রথম রুকন হচ্ছে, এক আল্লাহ’র প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা।
১) হাদীসে এসেছে, হযরত মুয়ায বিন জাবাল রা. বলেন,
عَن مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ كُنْتُ رِدْفَ رَسُولِ اللهِ ﷺ عَلَى حِمَارٍ يُقَالُ لَهُ عُفَيْرٌ قَالَ فَقَالَ يَا مُعَاذُ تَدْرِىْ مَا حَقُّ اللهِ عَلَى الْعِبَادِ وَمَا حَقُّ الْعِبَادِ عَلَى اللهِ قَالَ قُلْتُ اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ
মুআয বিন জাবাল (রা.) বলেন, একদা আমি উফাইর নামক এক গাধার পিঠে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিছনে সওয়ার ছিলাম।
তিনি বললেন, “হে মুআয! তুমি কি জান, বান্দার উপর আল্লাহর অধিকার এবং আল্লাহর উপর বান্দার অধিকার কি?” আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রসূল অধিক জানেন।
قَالَ فَإِنَّ حَقَّ اللهِ عَلَى الْعِبَادِ أَنْ يَّعْبُدُوا اللهَ وَلاَ يُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا وَحَقُّ الْعِبَادِ عَلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ لَّا يُعَذِّبَ مَنْ لَّا يُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا
তিনি বললেন, “বান্দার উপর আল্লাহর অধিকার হল এই যে, বান্দা একমাত্র তাঁরই ইবাদত করবে এবং তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক করবে না। আর আল্লাহর উপর বান্দার অধিকার হল এই যে, তাঁর সাথে যে কোন কিছুকে শরীক করে না তাকে আযাব না দেওয়া।”
২) আরেক হাদীসে আছে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
ما من عبد قال لا اله الا الله ثم مات على ذلك الا دخل الجنة
যে কোনো বান্দা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলে (অর্থাৎ তাওহীদকে দ্বীীন হিসেবে গ্রহণ করে এবং এর উপর অটল থাকে) আর এ অবস্থায় তার মৃত্যু হয় সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে। (সহীহ বুখারী, হাদীস : ৫৮২৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ২৮৩)
৩) হযরত উছমান রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
من مات وهو يعلم أنه لا اله الا الله دخل الجنة
‘যে কেউ দুনিয়া থেকে এ অবস্থায় বিদায় নিল যে, তার ইয়াকীন ছিল-লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ সে জান্নাতে দাখিল হবে।’ (সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৪৫)
৪) হযরত মুয়ায রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন বললেন-
مفاتيح الجنة شهادة أن لا اله الا الله
বেহেশতের চাবি হচ্ছে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র সাক্ষ্য দেওয়া।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ২২১০২)
৫) হযরত আবু বকর সিদ্দীক রা. বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাললাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম-
قَالَ أَبُو بَكْرٍ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ، مَا نَجَاةُ هَذَا الْأَمْرِ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” مَنْ قَبِلَ مِنِّي الْكَلِمَةَ الَّتِي عَرَضْتُ عَلَى عَمِّي، فَرَدَّهَا عَلَيَّ، فَهِيَ لَهُ نَجَاةٌ
হে রাসূলুল্লাহ, এই জাতির মুক্তির উপায় কী?
তিনি বললেনঃ যে কালেমা আমি আমার চাচার নিকট পেশ করলে তিনি তা প্ৰত্যাখ্যান করেছিলেন সেই কালেমা যে ব্যক্তি গ্ৰহণ করবে, সেটিই তার মুক্তির পথ।”
—————————————
১) প্রিয় ভাইয়েরা! এই হাদীসগুলোর অর্থ সঠিকভাবে বোঝা প্রয়োজন।
এ কথা মনে করা ঠিক নয় যে, শুধু ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলা ও তাওহীদকে স্বীকার করার দ্বারাই কেউ মুক্তির উপযুক্ত ও জান্নাতের হকদার হয়ে যায়।
ঈমানের অন্যান্য শর্ত ও দাবি পূরণের আর প্রয়োজন নেই।
২) বরং এই হাদীসগুলোর অর্থ শুধু এই যে, নাজাতের প্রথম ও প্রধান শর্ত হচ্ছে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। এ ছাড়া কোনোভাবেই নাজাত পাওয়া সম্ভব নয়।
৩) তাওহীদের এ দাওয়াত যে কবুল করল নাজাতের বড় শর্তটি সে পূরণ করল।
৪) এছাড়া ঈমানের অন্যান্য শর্ত যেমন রাসূলের উপর ঈমান, আখিরাতের উপর ঈমান ইত্যাদি এবং দ্বীনের গুরুত্বপূর্ণ দাবিসমূহ যেমন সালাত, যাকাত ইত্যাদির গুরুত্ব ও অপরিহার্যতা স্বস্থানে আছে।
৫) কুরআন-হাদীসের বিভিন্ন জায়গায় ঐ সকল শর্ত পরিষ্কারভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
————————————–
১) একথাটি এভাবেও বলা যায় যে, ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ কবুল করা এবং তাওহীদ ইখতিয়ার করা প্রকৃতপক্ষে গোটা দ্বীন কবুল করারই শিরোণাম।
২) এ কারণে ‘যে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ কবুল করে সে জান্নাতে যাবে’ কথাটির অর্থ, যে ঐ দ্বীনকে কবুল করে, যার ভিত্তি ও বুনিয়াদ ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ সে অবশ্যই জান্নাতে যাবে।
তো উপরের সকল হাদীসে (এবং এছাড়া কুরআন-হাদীসের আরো অনেক নসে) পরিষ্কার বলা হয়েছে যে, নাজাতের মূল কথা তাওহীদ। অর্থাৎ নাজাত ও মুক্তি নির্ভরশীল ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-এর পয়গাম কবুল করা এবং জীবনের নীতি হিসেবে গ্রহণ করার উপর।
আল্লাহ তায়ালা বুঝার তাওফিক দান করুন।
——————————-